মৌলভীবাজার জেলার সকল তথ্যাদি: পার্ট-১; মৌলভীবাজার জেলার নামকরণের ইতিহাস বলো? মৌলভীবাজার জেলার প্রাচীন ইতিহাস কি? মৌলভীবাজার জেলার সংসদীয় আসন কতটি? মৌলভীবাজার জেলার অর্থনীতি প্রসঙ্গে বলো?

সিলেট বিভাগের অন্যতম জেলা মৌলভীবাজার ভৌগোলিকভাবে জেলার এদিকে পাহাড় , টিলা চাবাগান অন্যদিকে হাওর , নদ - নদী , বিল ভাটি অঞ্চল জেলার বিশাল অঞ্চল সমতলভূমি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত দুটি পাতা আর একটি কুঁড়ির জনপদ দৃষ্টিনন্দন নান্দনিক জেলা হিসেবে পরিগণিত

. মৌলভীবাজার জেলার নামকরণের ইতিহাস বলো?

মৌলভীবাজার নামের উৎপত্তি সম্পর্কে প্রচলিত ইতিহাস থেকে জানা যায় , সপ্তদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে, সৈয়দ শাহ মোস্তফা ( রঃ ) এর ভাতুস্পুত্র হযরত ইয়াসিন ( রঃ ) এর উত্তর পুরুষ মৌলভী সৈয়দ কুদরত উল্লাহ মনু নদীর তীরে ১৮১০ খিস্টাব্দে যে বাজার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সেই বাজারটি কালক্রমে প্রসিদ্ধি লাভ করে ১৮৮২ খ্রিস্টাব্দে এপ্রিল মৌলভী সৈয়দ কুদরত উল্লাহ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত বাজারটিকে কেন্দ্র করে ২৬ টি পরগণা নিয়ে সাউথ সিলেট মহকুমা প্রতিষ্ঠা লাভ করে ১৯৮৪ সালে টি খানাকে উপজেলায় রূপান্তরিত করে ১৮৮৪ সালের ২২ এপ্রিল মৌলভীবাজার মহকুমাকে জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয় পরবর্তীকালে নতুন আরও একটি উপজেলা গঠিত হয় জেলার প্রশাসনিক রূপান্তর ঘটে ভাবে

. প্রাচীন ইতিহাস কি?

১১৯৫ খ্রিস্টাব্দে ইটা রাজ্যের গোড়াপত্তন হয় সময় মৌলভীবাজার জেলা ইটা রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয় ইটা রাজ্যের রাজা সুবিদ নারায়ণ কে পরাজিত করে পাঠাল সেনাপতি খাজা ওসমান লোহানী ইটা রাজ্য দখল করেন

১৬১২ খ্রিস্টাব্দে ইটা রাজ্য মুঘলদের দখলে চলে যায় ১৫৭৬ খ্রিস্টাব্দে সম্রাট আকবরের সময় মৌলভীবাজার জেলা সুবে বাংলার অন্তর্ভুক্ত হয় ১৭৫৭ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসন গ্রহণ করার সময় থেকেই জেলা ব্রিটিশ উপনিবেশিক শাসনের অধীনে চলে আসে ব্রিটিশ উপনিবেশিক শাসনের পরবর্তীকালে ১৯৪৭ সালের জুলাই গণভোটের মাধ্যমে মৌলভীবাজার জেলা পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হয় ১৯৪৭ সালে দেশ বিভক্তির দিয়ে পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলে নানা ঘাত - প্রতিঘাতের ভেতর দিয়ে পূর্ব বাংলার রাজনৈতিক সাংস্কৃতিক সংগ্রামের বিভিন্ন লক্ষণ দানা বেঁধে উঠতে থাকে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের ভেতর দিয়ে হাজার বছরের উপনিবেশিক রাষ্ট্রের দৌরাত্ম্য থেকে মুক্তি পায় মৌলভীবাজার জেলা 

.মৌলভীবাজার জেলার আয়তন কত ?

বিশাল গৌরব ঐতিহ্যে গড়া মৌলভীবাজার জেলার আয়তন হচ্ছে ২৬৮২.২৯ বর্গ কিলোমিটার আবাদযোগ্য জমির পরিমাপ -,৪৬,৭৪০ একর অনাবাদী জমির পরিমাণ -১০৬৯৫ হেক্টর  

.মৌলভীবাজার জেলার অবস্থান বলো? 

জেলার উত্তরে সিলেট জেলা ( বালাগঞ্জ , ফেঞ্জুগঞ্জ , গোলাপগঞ্জ বিয়ানীবাজার ) ; পশ্চিমে হবিগঞ্জ জেলা; দক্ষিণ ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সীমান্ত এলাকা  

.মৌলভীবাজার জেলার জনসংখ্যা কত

১৯,৯৪,২৫২ জন এর মধ্যে পুরুষ - , ৮১ , ৭৮৩ জন এবং মহিলা - ১০ , ১২,৪৬৯ জন ( ২০১১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী

.জেলায় উপজেলা পৌরসভার সংখ্যা কতটি ?

উপজেলা: মৌলভীবাজার জেলায় উপজেলার সংখ্যা টি মৌলভীবাজার সদর , শ্রীমঙ্গল , কমলগঞ্জরাজনগর , কুলাউড়া , জুড়ী বড়লেখা  

পৌরসভা: মৌলভীবাজার জেলায় পৌরসভার সংখ্যা টি যথাক্রমে মৌলভীবাজার সদর , শ্রীমঙ্গল , কমলগঞ্জ , কুলাউড়া বড়লেখা  

. ইউনিয়ন পবিষদ সংখ্যা কতটি

জেলায় ইউনিয়ন পরিষদ ৬৭ টি  

. গ্রামের সংখ্যা কতটি

গ্রামের সংখ্যা ২১৩৪ টি  

. মৌজার সংখ্যা কতটি

মৌজার সংখ্যা ৮৯৯ টি  

১০. সীমান্ত ফাঁড়ির সংখ্যা কতটি

সীমান্ত ফাঁড়ির সংখ্যা ১৪ টি ( কুলাউড়া - টি , কমলগঞ্জ - টি , শ্রীমঙ্গল - টি বড়লেখা - টি

১১. জেলার সংসদীয় আসন কতটি ? বিস্তারিত বলো

মৌলভীবাজার জেলার সংসদীয় আসন সংখ্যা টি  

আসন নম্বর -২৩৫ : মৌলভীবাজার - : , বড়লেখা . জুড়ী 

আসন নম্বর -২৩৬ : মৌলভীবাজার - : . কুলাউড়া 

আসন নম্বর -২৩৭ : মৌলভীবাজার - ; . মৌলভীবাজার সদর .রাজনগর

আসন নম্বর -২৩৮ : মৌলভীবাজার - : .শ্রীমঙ্গল .কমলগঞ্জ 

Note : আসন নম্বর -২৩৬ : মৌলভীবাজার - : কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর , আলিনগর , ইসলামপুর শমশেরনগর ইউনিয়ন ব্যতীত আসন নম্বর -২৩৮ : মৌলভীবাজার - : কমলগঞ্জ উপজেলার উল্লেখিত ইউনিয়ন সমূহ

১২. মৌলভীবাজার জেলায় শিক্ষার হার কেমন ? জেলার শিক্ষাব্যবস্থা প্রসঙ্গে বলো

স্বাক্ষরতার হার মোট ৫১. % . 

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা

কলেজ ২৪ টি ( সরকারি কলেজ - টি বেসরকারি কলেজ -২১ টি

মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৫৮ টি ( সরকারি - টি বেসরকারি - ১৫৫ টি মাদ্রাসা ৫৪ টি, দাখিল- ৪১ টি , আলিয়া - টি , ফাজিল - টি কামিল - টি

প্রাথমিক বিদ্যালয় ১১০৩ টি ( সরকারি -৫৯২ টি , রেজিঃ বেসরকারি -২০৫ টি , অঃ রেজিঃ বেসরকারি - ৯৭ টি, স্যাটেলাইট -৬২ টি কমিউনিটি -৪৭ টি

পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট : টি 

টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ : টি  

প্রাইমারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট ( PTI ) : টি

সেবা ইনস্টিটিউট : টি  

১৩. মৌলভীবাজার জেলার অর্থনীতি প্রসঙ্গে বলো

মৌলভীবাজার জেলার অর্থনীতির প্রধান ভীত হলো চা শিল্প রাবার শিল্প জেলায় প্রচুর পরিমাণে চা রাবার উৎপাদিত হয় এছাড়া পর্যটন শিল্প জেলার অর্থনীতিতে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য তাছাড়া এখানে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন ধরনের ছোট বড় শিল্প যা মৌলভীবাজার জেলাকে করেছে সমৃদ্ধশালী নিচে মৌলভীবাজার জেলার অর্থনীতির উৎস দেওয়া হলো

চাষাবাদ কৃষিকাজ : কৃষি জেলার প্রধান খাত জেলার চাষাবাদে প্রাচীনকাল থেকে গরু-মহিষ ব্যবহার হয়ে আসছে কৃষি ক্ষেত্রে উপকরণ হিসেবে লাঙল - জোয়াল , মইসহ স্থানীয় নানা উপকরণ ব্যবহৃত হয় কৃষিকাজের পানি সেচের জন্য হেবৎ ব্যবহার করা হয় কিন্তু বর্তমানে যান্ত্রিকীকরণের কারণে আধুনিক যন্ত্র উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করা হয় সর্বাধিক ধান উৎপাদন হয় মৌলভীবাজার জেলায় জেলায় এক সময় স্থানীয় হাজার জাতের আউশ , আমন ধান চাষ হতো একসময় জেলায় প্রচুর বিরল ধানের চাষ হতো কিন্তু বর্তমানে এসব ধানের ফলন কমে গেছে তাই বহুজাতিক কোম্পানির উচ্চ ফলনশীল নানা জাতের ধান চাষ হয়ে থাকে , যা জেলার অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে

  . চা - বাগান : দুটি পাতা আর একটি কুঁড়ির জনপদ মৌলভীবাজার জেলায় রয়েছে সর্বাধিক চা বাগান জেলায় ৬৪ শতাংশের বেশি চা উৎপাদন করা হয়ে থাকে ১০০ কোটি টাকার বেশি বৈদেশিক মুদ্রা এখানখার চা শিল্প থেকে আসে সারাদেশে চাবাগানের  ১১১ টি চা ফ্যাক্টরির হিসাব থাকলেও মৌলভীবাজার জেলায় রয়েছে ৬৮ টি চা ফ্যাক্টরি বাংলাদেশের একমাত্র চা গবেষণা কেন্দ্র জেলায় অবস্থিত চা বাগান দেখতে দেশ - বিদেশের পর্যটকরা জেলায় ভিড় জমায় যার ফলে পর্যটন খাতে একটা বিরাট পরিমাণ অর্থ আয় হচ্ছে

. পাহাড় , টিলা বনভূমি : মৌলভীবাজার জেলার ১০৭ বর্গমাইল এলাকায় বনভূমি বিদ্যমান আছে বে জেলায় অনেক চা বাগান গাছপালা থাকার কারণে গাছপালা আবৃতির হার ১২ শতাংশ জেলার উল্লেখযোগ্য পাহাড় গুলো হল- পাকারিয়া , কালাছড়া , লাওয়াছড়া পাহাড় গুলোতে রয়েছে নানা ধরনের গাছপালা যেমন -দিংকাত্তো , গর্জন , শাল , সেগুন , আগর , কাঁঠাল , আম , জাম , জামরুল ইত্যাদি জাতের গাছ বিদ্যমান ফলদ গাছের মধ্যে কমলা , লেবু , আনারস , কাঁঠাল , জাম , লিচু , কলা , শরিফা , নারিকেল প্রভৃতি মৌলভীবাজার জেলার সর্বত্রই পাওয়া যায় ঔষধি গাছের মধ্যে রযেছে আমলকী , হরীতকী , বহেড়া , কামরাঙ্গা , নিম অর্জুন সহ বহু বৃক্ষ যা জেলার অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে এই জেলায় ছোট - বড় অনেক টিলা দেখতে পাওয়া যায় পাহাড়ে টিলায় বিভিন্ন ধরনের গাছপালা থাকার কারণে বনাঞ্চল সমৃদ্ধ জেলা হিসেবে খ্যাত  

. রাবার বাগান বাঁশ উৎপাদন : এক তথ্যে জানা যায় , জেলায় গড়ে প্রতি বছর ১৯৭ কোটি বাঁশ ১১ লক্ষ ঘনফুট জ্বালানি উৎপাদিত হয় জেলায় বাঁশের তৈরি অনেক বসতবাড়ি দেখা যায় তাছাড়া বাঁশ বেতের কারিগরের জন্য জেলা বিখ্যাত  

এখানে ১৯৬০ সালের জুলাই মাস থেকে রাবার চাষ শুরু হয় এখানে ভাটেরা রাবার বাগান , সাতগাঁও রাবার বাগান প্রকল্প চালু আছে ইদানিং বিভিন্ন চা বাগানে চায়ের পাশাপাশি রাবার বাগান করতে দেখা যায় যা অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে

. নদ - নদী , হাওর , বিল ছড়া : মৌলভীবাজার জেলার দক্ষিণে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের বিশাল সীমান্ত এলাকা এই সীমান্ত এলাকা অতিক্রম করে মৌলভীবাজার জেলায় প্রবেশ করেছে মনু , ধলাই, কনটীনামা , সোনাই লাঘাটা নদী তাছাড়া অনেক ডোবা খাল বয়ে গেছে জেলার বিভিন্ন উপজেলা দিয়ে মৌলভীবাজার জেলার পাশ দিয়ে কুশিয়ারা নদী অতিক্রম করেছে জেলার বিভিন্ন নদী ছড়ার মিলিত স্রোতে কুশিয়ারা বয়ে যাচ্ছে জেলার টি বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে বেশ কয়েকটি হাওর রয়েছে এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো - হাকালুকি হাওর , কাউয়া দিঘি , হাইল হান্তর , চাইয়াখালি আশপাশ এই হাওর সমূহের জলরাশি বর্ষার সময় প্লাবিত করে তোলে শীত মৌসুমে জেলার হাওর - বিল থেকে কোটি কোটি টাকার মৎস্য আহরণ করা হয়  

.কুটির শিল্প , মৃৎশিল্প , লৌহশিল্প মনিপুরী তাঁতশিল্প : কুটির শিল্পের ক্ষেত্রে মৌলভীবাজার জেলার রয়েছে বিরাট অবদান মনিপুরী তাঁত শিল্প থেকে বছরে কযেক লক্ষাধিক তাঁত বস্ত্র তৈরি হয় মৃত শিল্পের জন্য মৌলভীবাজার জেলা একসময় প্রসিদ্ধ ছিল এখানে কুমার , পাল সম্প্রদায়ের অনেকেই এই শিল্পের সাথে জড়িত ছিল বর্তমানে মৃৎশিল্পের ব্যবহার কমে যাওয়াতে এই শিল্পের কারিগররা অন্য পেশায় চলে গেছেন লৌহ শিল্পের জন্য মৌলভীবাজার জেলা বেন প্রসিদ্ধ ছিল জেলার বিভিন্ন বাজারে লৌহ শিল্পের দোকান রয়েছে এখানে দা - কুড়াল , ছুরি - কাঁচি সহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য তৈরি হয় জেলার রাজনগর উপজেলার লৌহ শিল্পী জনার্দন কর্মকার ঢাকার ওসমানী উদ্যানে অবস্থিত কামানটি তৈরি করেছিলেন তাছাড়া জেলায় রয়েছে প্রচুর মধু চাষী কমলগঞ্জের আদমপুর বাগমারা ইসলামপুরে চাষের মধু উৎপাদিত হয়ে থাকে

. যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রাচীন শিলালিপি : প্রাচীন শিলালিপি সমূহ জেলার প্রাচীনকালের সাক্ষ্য বহন করে মৌলভীবাজার জেলার ভাটেরা কালাপুরে মাটি খননকালে চারটি শিলালিপি পাওয়া যায়, যা জাদুঘরে রয়েছে 

যোগাযোগের ক্ষেত্রে জেলার সবকটি উপজেলায় বেশিরভাগ রাস্তাঘাট পাকা ঢাকা - সিলেট মহাসড়ক জেলার উপর দিয়ে অতিক্রম করেছে জেলার সাতটি উপজেলার মধ্যে পাঁচটি রেল স্টেশন আছে, জেলার কুলাউড়ায় একসময় আসাম - বেঙ্গল রেলওযের বড় জংশন ছিল যোগাযোগের ক্ষেত্রে জেলার ভাটি অঞ্চলে ইঞ্জিনচালিত নৌকা লঞ্চের ব্যবহার হয়ে থাকে জেলার অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের ক্ষেত্রে বাস , কোচ , অটোরিক্সা প্রধান চলাফেরার মাধ্যম ট্রেন চলাচলের মাত্রা বেড়েছে ঢাকা - সিলেট ঢাকা - চট্টগ্রাম লাইলে অনেকগুলোতে আন্তঃনগর ট্রেল চলাচল করে এক সময় যোগাযোগের ব্যবস্থা অনুন্নত থাকায় জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে গরুর গাড়ি ব্যবহৃত হতো বিয়ে - সাদীতে পালকি ব্যবহৃত হতো অভিজাত্যের বিষয় হিসেবে জমিদার শ্রেণীর লোকজন হাতিতে চড়ে চলাফেরা করতেন এখন এসবের ব্যবহার নেই

আনারস বাগান লেবুর বাগান : জেলায় রয়েছে আনারস বাগান লেবুর বাগান দেশে বিদেশে জেলা থেকে আনারস লেবু সরবরাহ করা হয়ে থাকে যা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে

.পর্যটন হোটেল : জেলার আনাচে - কানাচে রযেছে অসংখ্য নদ - নদী , খাল - বিল , হাওর - বাওর , জলপ্রপাত , পাহাড় , টিলা , চা - বাগান , রাবার বাগান , আনারস বাগান , লেবু বাগান প্রভৃতি যা দেখতে দেশ - বিদেশের বিভিন্ন পর্যটকরা ভিড় জমায় যারা দিন শেষে হোটেলে রাত কাটায় ফলে এসব জায়গা হোটেল থেকে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ জেলার পর্যটন খাতে যোগ হয 

আর্টিকেল'টি ভালো লাগলে আপনার ফেইসবুক টাইমলাইনে শেয়ার দিবেন। তাতে আপনি যেকোনো সময় আর্টিকেলটি খুঁজে পাবেন এবং আপনার বন্ধুরাও আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হবে।
গৌরব রায়
বাংলা বিভাগ, 
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট, বাংলাদেশ। 
লেখকের সাথে যোগাযোগ করতে: ক্লিক করুন

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.