রায় পদবীর বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের নাম, পরিচয় ও উল্লেখযোগ্য কর্ম: পার্ট- ২

আগের পর্বটি পড়ুন: রায় পদবীর বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের নাম, পরিচয় ও উল্লেখযোগ্য কর্ম: পার্ট- ১ ক্লিক করুন

কন্দর্প রায়

 বারো ভুঁইয়াদের অন্যতম চন্দ্রদ্বীপের অধীশ্বর কন্দৰ্প রায়পরমানন্দ তার পিতামহ সেনবংশীয় শেষ পরাক্রান্ত রাজা দনেজ মাধব চন্দ্রদ্বীপের স্থাপয়িত তাহার দৌহিত্র বসুবংশীরেয়া চন্দ্রদ্বীপের অধিকার লাভ করেন সুতরাং ইহারা অনেক দিন হইতে পরাক্রান্ত ভূইয়া-রূপে গণ্য হইয়া এসেছেন মোগলবিজয়ের সময়ে কন্দৰ্প রায় বাকলার অধীশ্বর ছিলেন রাজা কন্দর্প নারায়ণ ছিলেন চন্দ্রদ্বীপের ৯ম রাজা তার রাজত্বকাল ১৫৮৪ থেকে ১৫৯৮ পর্যন্ত

 চন্দ্রদ্বীপের রাজগণ যে সেনরাজগণের বংশধর তাহ পূর্বে উল্লেখ করা হইয়াছে তারা কায়স্থ হওয়ায় সেনরাজগণেরও কায়স্থত্ব প্রতিপাদিত হইতেছে আইন আকবরীতে সেনরাজগণ কায়স্থ বলিয়াই উল্লিখিত হইয়াছেন ইম্পিরিয়াল গেজেটিয়ারের নুতন সংস্করণে চন্দ্রদ্বীপের রাজগণকে সেনরাজগণের বংশধর বলায় প্রকারান্তরে তাহদের কায়স্থত্ব নির্দেশ করা হইতেছে স্বতরাং ঐতিহাসিক প্রমাণে সেনরাজগণ কায়স্থ বলিয়াই স্থির হইতেছেন তবে তাছার মূলে ক্ষত্রিয় ছিলেন, ইহা জহাদের তাম্রশাসনাদি হইতে জানা যায়  

১৫৮৪ খ্রিষ্টাব্দে জগদানন্দের মৃত্যুর পর তার পুত্র কন্দর্প নারায়ণ বসু সিংহাসনে আরোহণ করেন তিনি চন্দ্রদ্বীপ রাজাদের মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ রাজা ছিলেন তিনি বীরযোদ্ধা শক্তিশালী শাসক ছিলেন ১৫৮৪ খ্রিষ্টাব্দের জলোচ্ছাসের পর তিনি দৃঢ়তার সাথে প্রজাদের পুনর্বাসনে আত্মনিয়োগ করেন চারদিকে হাজার হাজার মৃতদেহ জীবিত প্রজারা আশ্রয়হীন খাদ্যের অভাব, বস্ত্রের অভাব তিনি এক ধ্বংসস্তুপের উপর শাসন প্রতিষ্ঠা করেন তিনি অতি অল্প সময়ের মধ্যে বন্যাপীড়িত প্রজাদের পুনর্বাসন করেন কন্দর্প নারায়ণ মোগলদের অধীনতা ছিন্ন করে স্বাধীনভাবে রাজ্য শাসন করতেন সময় মগ-পর্তুগীজরা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দলে বিভক্ত হয়ে বাকলা রাজ্যে লুন্ঠন শুরু করে তিনি তাদের আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য রামনাবাদ নদীর তীরে দুটি মাটির দুর্গ নির্মাণ করেন এবং সৈন্য মোতায়েন করেন দুর্গ দুটি আগুনমুখা নদীর ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে গেছে

 কচুয়া থেকে রাজধানী : একদিকে মগ জলদস্যুদের উপদ্রব অন্য দিকে জলোচ্ছ্বাসের জন্য কন্দর্প নারায়ণ রাজধানী বাকলা থেকে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত গ্রহণ কনে খুব সম্ভব রাজধানী বাকলা তেঁতুলিয়া নদীর ভাঙ্গনের সম্মুখীন হয়েছিল তাই তিনি ১৫৯২ খ্রিঃ বাউফল থানার বগার নিকট রাজনগরে রাজধানী স্থানান্তরিত করেন এখানে তিনি কযেকটি দীঘি খনন দুর্গ নির্মাণ করেন রাজধানী ছিল বলে গ্রামের নাম রাজনগর হয়েছে কারখানা গ্রামে তিনি এক বিরাট দীঘি খনন করেন দীঘির নামে মদনপুর পুত্র রামচন্দ্রের নামে শ্রীরামপুরে গ্রাম আছে রীরপাশা গ্রামে তার অমাত্য কর্মচারীরা বসতি স্থাপন করেন তিনি ঝিলানার নিকটে বন্দর স্থাপন করেন রাজধানীর পাশেই ৬৪ দাঁড়ের পানসি নৌকার ঘাট ছিল স্থান পানসিঘাটা নামে পরিচিত রাজনগরে দক্ষিণ-পশ্চিমে কুড়ি ঘর পাইক বাস করত তাই গ্রামের নাম কুড়িপাইকা তিনি প্রতাপাদিত্যের নামে প্রতাপপুর গ্রাম প্রতিষ্ঠা করেন এক বছর পরেই তিনি রাজধানী রাজনগর থেকে বাকেরগঞ্জ থানার বিশারীকাঠী গ্রামে স্থানান্তিরত করেন কুলীন কায়স্থ ব্রাক্ষ্মণ রাজার নির্দেশে ভাতশালা, কাকরদা, কোষাবর বিশারীকাঠী গ্রামে বসতি স্থাপন করে তিনি বিশারীকাঠীতে রাজবাড়ি দুর্গ নির্মান করেন বিশারীকাঠীর নিকটে রাজার ৬৪ দ্বারের নৌকা ঘাট ছিল কোষাবর গ্রামের নাম তার কোষানৌকা থেকে হয়েছে তিনি অনেক দীঘি খনন মন্দির নির্মান করেন বিশারীকাঠীতে নির্মিত রাজধানীর ধ্বংসাবশেষ আছে কাকরদা গ্রামে কবিরাজের বৃহৎ দীঘি তার স্মৃতি বহন করে তার নির্মিত মন্দির মঠবাড়ী নামে পরিচিত সম্রাট আকবর বারভূঁইয়াদেও দমন করতে ব্যর্থ হওয়ায় ১৫৯৪ খ্রিঃ তার সেনাপতি রাজা মানসিংহকে বাংলার সুবেদার প্রধান সেনাপতি করে প্রেরণ করেন মানসিংহের আহবানে কন্দর্প নারয়ণ মোগল সম্রাটের বশ্যতা স্বীকার করেন রাজ্য শাসনের সুবিধার জন্য তিনি রাজধানী পুনরায় বিশারীকাঠী হতে বাবুগঞ্জ থানার ক্ষুদ্রকাঠী গ্রামে স্থানান্তরিত করেন সময় খানপুরা, ক্ষুদ্রকাঠী, রহমতপুর, হোসেনপুর, ডহরপাড়া, গাজীরপার, গুঠিয়া প্রভৃতি গ্রাম মুসলামান অধ্যুষিত ছিল ক্ষুদ্রকাঠী সংলগ্ন খানপুরা গ্রামে খাঁ পদবির পাঠানদের বাস ছিল রহমত খাঁ তার ভ্রাতাকে হত্যা করেন রহমত খাঁর নামানুসারে রাহমপুর এবং খাঁ পদবীর পাঠানদের অন্যত্র সরিয়ে দিয়ে রাজধানী প্রতিষ্ঠা করেন ক্ষুদ্রকাঠীর ওয়াহেদ শিকদারের বাড়ির নিকটে রাজবাড়ি ছিল এই বাড়িতে পূর্বে প্রাচীন ইট পাওয়া যেত এখানে রাজবাড়ি দীঘির এক অংশে পুকুর আছে এবং বাকি অংশে দালান ছিল কন্দর্প নারায়ণ এই তোষাখানায় বিভিন্ন উপঢৌকন সংরক্ষণ করতেন শিকদার বাড়িতে একটি প্রাচীন বৃহৎ চাবি পাওয়া যায় বাড়িতে মসজিদ নির্মাণ করার সময় একটি কবর আবিষ্কৃত হয় বাড়িতে একটি প্রাচীন গোলা আছে কন্দর্প নারায়ণ দোয়ারিকা গ্রামে একটি দীঘি খনন করেন দীঘিতে পাকা ঘাটলা ছিল দীঘির পাশেই একটি উচু মাটির ঢিবি আছে মনে হয় রাজার দ্বাররক্ষক এখানে বাস করত এবং তার নামানুসারে দোয়ারিকা নাম হয়েছে

 মোগলদের সাথে যুদ্ধে পরাজয় বরণ করে বিহার, উড়িষ্যা বাংলার কয়েক স্থান থেকে পাঠানরা এই রাজ্যে দলে দলে প্রবেশ করে তারা স্থানীয় অধিবাসীদের নিকট থেকে রাজস্ব আদায় শুরু করে এমনকি তারা রাজা কন্দর্প নারায়ণের নিকট নিয়মিত কর দাবি করে এবং তাকে মোগলদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য অনুরোধ জানায় জনৈক সওদাগরা পাঠানদের নেতা ছিলেন পাঠানরা ক্ষুদ্রকাঠী , লাখুটিয়া, রহমতপুর, কসবা প্রভৃতি গ্রাম থেকে বিতাড়িত হয়ে হোসেনপুর, ডহরপাড়া গাজীরপারে ঘাঁটি স্থাপন করেন কন্দর্প নারায়ণ রাজা মানসিংহের সাথে ইতোমধ্যে সন্ধি করে মোগলদের বশ্যতা স্বীকার করেনতিনি মোঘলদের বশ্যতা স্বীকার করে আর কখনও বিদ্রোহাচরণ করেন নাই হোসেনপুরের যুদ্ধ: কন্দর্প নারায়ণ চুক্তি অনুসারে হোসেনপুরের পাঠানদের আক্রমন করেন হোসেনপুরের যুদ্ধে পরাজয় বরণ করে পাঠানরা ডহরপাড়া গাজীরপার থেথে পশ্চাদপসরণ করেন যুদ্ধে উভয়পক্ষের অনেক সৈন্য নিহত হয় অনেকে বাকলা ত্যাগ করে অন্যত্র চলে যায় কন্দর্প নারায়ণ গাজীরপারে যুদ্ধে গুরুতরভাবে আহত অবস্থায় ক্ষুদ্রকাঠী ফিরে আসেন তিনি বন্দীদের মানসিংহের নিকট পাঠিয়ে দেন রাজবৈদ্য অনেক চেষ্টা করে কন্দর্প নারায়ণের চিকিৎসায় ব্যর্থ হন তিনি ক্ষুদ্রকাঠী রাজবাড়িতে ১৫৯৮ খ্রিঃ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ক্ষুদ্রকাঠী গ্রামের উত্তর-পূর্ব দিক দিয়ে প্রবাহিত আমতলী নদীর তীরে তাকে সমাধিস্থ করা হয় তার স্মরণে নদীর তীরে এক বিরাট মন্দির নির্মিত হয় মন্দিরের জন্য গ্রামের নাম হয় মঠবাড়ী মঠের ধ্বংসাবশেষ কয়েক বছর পূর্বে আমতলী নদীতে বিলীন হয়ে যায়

 যশোরের রাজা প্রতাপাদিত্য কন্দর্প নারায়ণের আত্মীয় বন্ধু ছিলেন প্রকাশ থাকে যে, বাকলার গুহ পরিবারের রামচন্দ্র নিয়োগীর প্রৌপুত্র হলেন প্রতাপাদিত্য প্রতাপাদিত্যের পিতৃব্য বসন্ত রায় কন্দর্প নারায়ণের ভগ্নি কমলাকে বিয়ে করেছিলেন কন্দর্প নারায়ণ বাকলা রাজ্য হতে মগ জলদস্যুদের বিতাড়িত করার জন্য প্রতাপাদিত্যের সাথে মৈত্রি চুক্তি করেন চুক্তি অনুসারে প্রতাপাদিত্য বাকলা রাজাকে সৈন্য অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করেন কথিত আছে ১৫৯০খ্রিঃ প্রতাপাদিত্য চন্দ্রদ্বীপের রাজধানী বাকলায় আগমন করেন তার আগমনের উদ্দেশ্যে ছিল তার কন্যা বিমলা বা বিভার সাথে কন্দর্প নারায়ণের পুত্র রামচন্দ্রের বিবাহ সর্ম্পকে স্থাপন করা মগ পর্তুগীজগের দমন করা রামচন্দ্র বিমলা উভয়ের বয়স তখন / বছর হবে যশোর চন্দ্রদ্বীপ রাজা তাদের মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপনে সম্মত হলেন প্রতাপাদিত্যের সাথে ভবানন্দ মজুমদারের পুত্র হরানন্দ মজুমদার বাকলা এসেছিলেন হরানন্দ পটুয়াখালীর মুরাদিয়া গ্রামে বসতি স্থাপন করেন মুরাদিয়ার মুজমদারগণ তার বংশধর বৈবাহিক সর্ম্পর্কের যৌতুকস্বরূপ রাজা কন্দর্প নারায়ণ বাগেরহাটের রামপাল থানায় চাকশ্রী মহল প্রতাপাদিত্যকে ছেড়ে দেন চন্দ্রদ্বীপ রাজ্য সময় খুলনার রূপসা নদী পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল

 কন্দর্প নারায়ণের রাজ্য খুলনা জেলার বাগরেহাট হতে ফরিদপুরের গোপালগঞ্জ, কোটালীপাড়া পূর্বে হাতিয়া-সন্দ্বীপ পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল ভুলুয়ার লাজা লক্ষ্মণ মানিক্য শ্রীপুরের চাঁদ রায়-কেদার রায়ের সাথে তার সীমান্ত নিয়ে শত্রুতা ছিল তার সাথে পার্শ্ববর্তী ভূঁইয়াগণ শক্তি পরীক্ষায় পারতেন না তার নির্মিত অনেক কামান ছিল একটি কামানের দৈর্ঘ্য পৌনে আট ফুট এবং পরিধি সাড়ে উনত্রিশ ফুট ছিল কামানের উপরে বাংলা অক্ষরে কন্দর্প নারায়ণের নাম কামান নির্মাতা রূপিয়া খাঁ সাং শ্রীপুর অঙ্কিত ছিল কামানের উপরে ৩১৮ অঙ্ক লেখা ছিল ৩১৮ দিয়ে রাজবংশের ১৪০০ খ্রিঃ হতে কন্দর্প নারায়ণ পর্যন্ত রাজত্বকাল বুঝতে পারে অথবা দ্বারা কামানের সংখ্যাও বুঝাতে পারে কামানটি বর্তমানে নিখোঁজ রাজবাড়িতে আর একটি কামানে গোবিন্দ চন্দ্র কর্মকৃত নাম লেখা ছিল এই কামানটি ১২৯৭ খ্রিঃ রোহিণী রায় চৌধুরীর ছোট ভাইয়ের বিয়ে উপলক্ষে কীর্তিপাশার বাড়িতে নেয়া হয় কিছু লোক কামানের মধ্যে আগুন দিলে কামানটি ফেটে যায় আর একটি কামান বরিশালের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মিঃ স্ট্রং বরিশাল সাহিত্য পরিষদের সভাপতি দেবকুমার রায় চৌধুরীকে প্রদান করেন দেশ বিভাগের পর দেব কুমারের বাড়িটি হস্তান্তরিত হলে জনৈক ব্যক্তি লৌহ ব্যবসায়ীদের নিকট কামানটি মাত্র ১২ টাকায় বিক্রি করে রাজা কন্দর্প নারায়ণ একজন প্রভাবশালী ভূঁইয়া ছিলেন তিনি মোগল সুবেদার মানসিংহের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেন এবং স্বাধীনভাবে রাজ্য শাসন করতেন তার প্রধান সেনাপতি রঘুনন্দ ফৌজদার প্রধানমন্ত্রী সারাই আচার্য প্রধান শরীর রক্ষক রামমোহন মাল রাজ্য শাসনে তাকে সর্বদা সহায়তা করতেন তিনি অতি পরাক্রান্ত বীর বলিয়া অভিহিত হয়ে থাকেন তাহার অধীন অনেক সৈন্য় ছিল ; তিনি যবনপতি গাজীকে যুদ্ধে নিহত মগদিগের গর্বখৰ্ব করেছিলেন কন্দৰ্প রায় কর্তৃক হোসেনপুর হইতে যবনগণ বিতাড়িত হয় মোগলেরা প্রথমে বঙ্গ জয় করিলে দায়ূদ উড়িষ্যা লয়ে ক্ষান্ত হন পরে মোগলের পূর্ববঙ্গ জয়ের জন্য যথেষ্ট চেষ্টা করেন মোরাদ খাঁ, মুনিম খাঁর আদেশে ১৫৭৪ খ্রিষ্টাব্দে ফতেয়াবাদ বাকলা অধিকার করেন 

 ১৫৮৫ খ্রিঃ জেসুইট মিশনারি ্যালফ ফিচ রাজা কন্দর্প নারায়ণের সুনাম শুনে রাজধানী বাকলানগরে আগমন করেন মি. ফিচ প্রথমে দিল্লিতে আসেন দিল্লী থেকে তিনি জলপথে সাতগাঁও সোনারগাঁও হয়ে চট্টগ্রাম গমন করেন চট্টগ্রাম থেকে তিনি জাহাজযোগে রাজধানী বাকলায় আগমন করেন তিনি বাকলা সম্পর্কে তার ভ্রমন বৃত্তান্তে লিখেছেন, “From chatham, in Bengala, I came to Bacala ,the king where of is a gentile (i.c Hindu) a man very well disposed and delighteth much to shoot in a gun. His country is very great and fruitful and has a store of rice, much cotton cloth, and cloth of silk. The houses are very fair and high builded the streets large, the people naked except a little cloth about their waist. The woman was great store of silver hoops about their necks and arms and their legs are reigned about with silver and copper and tings made of elephants teeth.” মি. ফিচ বর্ণিত বাকলা সম্পূর্ণভাবে তেতুলিয়া নদীতে বিলীন হয়ে গেছে কচুয়ার কিনারেই বাকলা শহর ছিল মি. ফিচের বিবরণে আমরা এক বছর পূর্বে বাকলার উপর দিয়ে প্রবাহিত ঝড়ের কোন ইঙ্গিত পাইনি তাতে মনে হয় রাজা কন্দর্প অতি দ্রুত রাজধানীসহ রাজ্যের পুর্নগঠন করেছিলেন মিঃ ফিচ সুন্দর বাকলা শহরের বর্ণনা দিয়েছেন আশ্চর্যের বিষয় তিনি প্রলঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ের কথা উল্লেখ করেননি বন্যা মগ-পর্তুগীজদের আক্রমণের কারণে রাজা কন্দর্প নারায়ণ বাকলা থেকে রাজধানী স্থানান্তর করেন তারপর বাকলা পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে ১৮৭৪ খ্রিঃ এইচ বেভারিজ বাকলা পরিদর্শন করেন তিনি একটি উঁচু মন্দির কয়েকটি ভগ্ন ভবন দেখেছেন খুব সম্ভব মি. ফিচ বর্ণিত বাকলা শহর তেঁতুলিয়া নদীতে বিলীন হয়েছেরালফ ফিচ, ১৫৮৬ খ্রিষ্টাব্দে বাকলায় উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি কন্দৰ্প রায়ের অনেক প্রশংসা করেছেন তার বিবরণ হতে জানা যায় যে, তিনি বন্দুকক্রীড়া ভালবাসতেন

 রাজা কন্দর্প নারায়ণ বাকলার পূর্ণানন্দ ঘোষের কন্যা এবং পাচু গুহের কন্যাকে বিয়ে করেন তার প্রথম পুত্র রামচন্দ্র রায় তৃতীয় পুত্র রাম জীবন রায় দ্বিতীয় স্ত্রীর গর্ভে এবং দ্বিতীয় পুত্র রাঘবেন্দ্র রায় প্রথম স্ত্রীর গর্ভে জন্মগ্রহণ করেন কন্দর্প নারায়ণের মৃত্যুর সময় পুত্রগণ শিশু ছিল রাঘবেন্দ্র বসু টাকীর চৌধুরী পরিবারে বিবাহ করে সেখানে চলে যান টাকীর বসুরা তার বংশধর কন্দর্প নারায়ণের কনিষ্ঠ পুত্র রামেশ্বর বসু ফরিদপুরে জালালাবাগ পরগণায় চলে যান তার বংশের অনেকে ভারতে বসবাস করছেনকন্দৰ্প রায়ের পর তাহার শিশু পুত্র রামচন্দ্র বাকলার অধীশ্বর হন ১৫১৯ খ্রিষ্টাব্দে জেসুইট প্রচারক ফনসেক তার রাজ্যে উপস্থিত হয়েছিলেন সেই সময়ে তিনি অষ্টমবর্ষীয় ছিলেন বলে জানা যায় ১৫৯৮-৯৯ খ্রিষ্টাব্দে ফাৰ্ণাণ্ডেজ, সোসা, ফনসেকা বাউয়েস নামে চারজন জেসুইট প্রচারক বঙ্গদেশে উপস্থিত হন ইহার বঙ্গদেশ ব্যতীত আরাকান প্রভৃতি স্থানেও পরিভ্রমণ করেছিলেন ১৫৯৯ খ্রিষ্টাব্দের শেষভাগে ফনসেক চট্টগ্রাম হতে বাকলায় উপস্থিত হন পরে তথা হতে চ্যাণ্ডিকান বা সাগরদ্বীপে গমন করেন তৎকালে সাগরদ্বীপ প্রতাপাদিত্যের অধিকারভুক্ত ছিল ফনসেকা বাকলায় উপস্থিত হলে, রামচন্দ্র তাকে আপনার দরবারে নিমন্ত্ৰণ করে নিয়ে যান ; এবং তার প্রতি অত্যন্ত সন্মানপ্রদর্শন করেন ফনসেকা বলেছেন যে, তিনি অল্পবয়স্ক হলেও, তাহার বিবেচনাশক্তি অধিক বয়স্কের দ্যায়ই ছিল রামচন্দ্র ফনসেকাকে তাহার গন্তব্য স্থানের কথা জিজ্ঞাসা করলে তিনি উত্তর করেন যে, আমি চাণ্ডিকানে আপনার ভাবী শ্বশুর মহাশয়ের নিকট যাচ্ছি আপনার রাজ্যের মধ্য দিয়ে আমাকে ,যেতে হচ্ছে বলে, আমি আপনার সহিত সাক্ষাৎ কৰ্ত্তব্য মনে করেছি এক্ষণে আপনার নিকট প্রার্থনা, আপনি আপনার রাজ্যের মধ্যে গির্জা নিৰ্ম্মাণ লোকদিগকে খৃষ্টধৰ্ম্মাবলম্বী করিবার আদেশ প্রদান করুন রামচন্দ্র উত্তর করেছিলেন যে, আমি আপনাদের সদগুণের কথা শুনে নিজেই তাহা ইচ্ছা করেছিলাম পরে তিনি ফনসেকাকে আজ্ঞাপত্র দুইজনের উপযোগী, বৃত্তি প্রদান করেন

কংসনারায়ণ রায় 

বারো ভুঁইয়াদের মধ্যে অন্যতম নারায়ণ রাজশাহী জেলার তাহিরপুরের রাজা তিনি বারেন্দ্রকুলের প্রধান সংস্কারক এবং সেই সময়ের বাঙ্গালী হিন্দু সমাজের নেতা ছিলেন তিনি বাংলায় দুর্গাপুজা চালু করেন সমগ্র বাংলার রাজারা অবনত তার উপদেশ গ্রহণ করতেন

বারেন্দ্র ব্রাহ্মণ-কুলভূষণ বিজয় লঙ্কর তাহিরপুরের জমিদারীর প্রতিষ্ঠাতা কথিত আছে, তিনি দিল্লীশ্বর বা বঙ্গের কোন স্বাধীন সুলতানের কাছ থেকে বঙ্গের পশ্চিম দ্বার রক্ষার ভারপ্রাপ্ত হন তিনি ২২ পরগণা এবংসিংহ" উপাধি লাভ করেন বারাহী নদীর তীরে রামবাম তার রাজধানী ছিল তার পুত্র উদয় নারায়ণ এই উদয়ের পৌত্র হল বিখ্যাত কংসনারায়ণকংসনারায়ণের দুই ছেলে মুকুন্দরাম রায় নরেন্দ্রনারায়ণ রায় নরেন্দ্রনারায়ণ রায় সম্পত্তির দশ আনার উত্তরাধিকারী হন রাজা কংসনারায়ণের পুত্র নরেন্দ্রনারায়ণের কন্যা উমাদেবী সাথে আনন্দীরাম রায়ের বিয়ে হয় বংশের শেষ রাজা নরেন্দ্রনারায়ণ অপুত্রক অবস্থায় মারা যান বংশের পুত্রসস্তান না থাকায় আনন্দীরামের দশ আনা সম্পত্তির অধিকারী বিনোদরাম হলেন সম্প্রতি জলপাইগুড়ির এক চক্রবর্তী পরিবার নিজেদের তাঁর বংশধর মনে করেন 

উদয়নারায়ণ কুলীন ব্রাহ্মণগণের মধ্যে নিরাবিল পক্টর সৃষ্টি করে ছিলেন কূলজ্ঞ উদয়ণাচার্য্যের নিয়ম অনুসারে কুলীন-কন্যার শ্রোত্রিয়ের সঙ্গে বিয়ে হতে পারত না এবং কুলানদের বিবাহে কুশবারি সংযুক্ত প্রতিজ্ঞা করতে হত, কেবল বাগদানে কার্য হত না এই নিয়মের জন্য বহু কুলীনের কুল নষ্ট হল এবং তারা কাপ - হতে লাগল রাজা কংসনারায়ণ দেখলেন যে এরূপ প্রথা চললে কুলিনদের বংশ একেবারে লুপ্ত হবে তিনি বহু অর্থ ব্যয় করে কাপ কুলীনদেরকে একত্র করে দিলেন তিনি কাপ কুলীনের মধ্যে কন্যা আদান প্রদান কুলীনে শ্রোত্রিয়ের কন্যা গ্রহণ বিধিবদ্ধ করলেন কংসনারায়ণ স্বীয় বংশের কন্যা কাপে প্রদান করলেন   তার সময়ে বাংলার মসনদে অধিষ্ঠিত ছিল নবাব সুলেমান কররানিযার সেনাপতি কুখ্যাত কালাপাহাড়যে কিনা হিন্দু বিদ্বেষী ছিল হিন্দুদের উপর সে ভয়াবহ অত্যাচার চালায়পুরির জগন্না মন্দিরেও সে হামলা করেছিল বাংলা জুড়ে তখন চলছিল অত্যাচার তরুণ কংসনারায়ণ ফৌজদার ছিলেন তিনি পরিস্থিতি দেখে কালাপাহাড়ের অত্যাচারের প্রতিবাদ করলেন বিচার চাইলেন কিন্তু নবাব কংসনারায়ণের কথা শুনলেন নাবরং রেগে গেলেন তিনি এতে তিনি পদত্যাগ করলেন ফৌউদার পদ থেকে 

কালাপাহাড়কে থামাতে সিন্দুরীর জমিদার ঠাকুর কালীদাস রায়, সাঁতোরের জমিদারপুত্র গদাধর সান্হাল দিনাজপুরের রাজভ্রাতা গোপীকান্ত রায়ের সঙ্গে পরামর্শ করলেনঅনেক যুক্তি পরামর্শ করে তিনি গেলেন দিল্লিতে সম্রাট আকবর তখন বাদশা হয়েছেন কংসনারায়ণ সম্রাটকে জানালেন, পাঠান শাসনে নবাবের সেনাপতি কালাপাহাড় অত্যাচার চালাচ্ছেআপনি বাবস্থা নইন মিষ্টিভাষায় তিনি বাদশার মন জয় করলেনসম্রাট আকবর বাংলা অভিযান করলেন সুলেমান কররানির মৃত্যুতে তখন বাংলার নবাব সুলেমান কররানির পুত্র দাউদ খাঁ মোগল-পাঠান যুদ্ধ হল পতন হলো কালাপাহাড়ের ১৫৭৫ খ্রিষ্টাব্দে রাজমহলে মোগলদের কাছে পরাজিত নিহত হলেন দাউদ খাঁ বাংলায় শান্তি ফিরলনববিজিত রাজ্যের জমিজমার বন্দোবস্ত করার কাজে রাজা টোডরমলকে সাহায্য করলেন কংসনারায়ণ কংসনারায়ণের সুদক্ষ সহযোগিতায় সুবে বাংলার জমিজমার জরিপ বন্দোবস্ত পুরোদমে চলছিল তখন এক বিশেষ প্রয়োজনে রাজা টোডরমলকে ডেকে পাঠালেন সম্রাট রাজা টোডরমল এই গুরুতর দায়িত্বপূর্ণ অসমাপ্ত কাজ কংসনারায়ণের ওপর অর্পণ করে চলে গেলেন আগ্রায় কংসনারায়ণ অবশিষ্ট কাজ সুচারুভাবে শেষ করে সমস্ত হিসাবপত্র, চিঠা-পৈঠা নকশা পাঠিয়ে দিলেন সম্রাটের কাছে

 সম্রাট আকবর টোডরমলের সহায়তায় সব কাগজপত্র পরীক্ষা করে দেখলেন সন্তুষ্ট হলেন সার্বিকভাবে স্বাভাবিকভাবেই বাংলার মানুষ তখন আশা পোষণ করলেন যে বাঙালি যুবক কংসনারায়ণকেই নির্বাচিত করা হবে বাংলার সুবেদার পদে কিন্তু মোগল সম্রাট আকবর বিশিষ্ট দূত মারফত বাঙালি কংসনারায়ণের জন্য পাঠালেন নানা রকম মূল্যবান উপহার, ‘রাজাখেতাব এবং সুবে বাংলার দেওয়ানের পদ মনঃক্ষুণ্ন কংসনারায়ণ সসম্মানে সম্রাটের উপহার খেতাব গ্রহণ করলেন, তবে সুবে বাংলার দেওয়ানের পদ প্রত্যাখ্যান করলেন সবিনয়েগৌড়ের মহামারীতে মুনেম খাঁর মৃত্যু হইলে, তিনি অস্থায়ীভাবে কিছুকাল সুবেদারী করিয়া গৌড়েশ্বর হইয়াছিলেন পরে তিনি কেবলমাত্র বঙ্গের দেওয়ান ছিলেন

কংসনারায়ণ তাহিরপুরে তার সুবিস্তৃত জমিদারির উন্নতি বিধানের প্রতি পুরোপুরি মনোনিবেশ করলেন রাজসিকভাবে শুরু করলেন দুর্গাপুজা মুঘল সম্রাট আকবরের আমলে সম্ভবত ১৫৮২ সালে শরৎকালে প্রথম দুর্গা পুজো করেন তিনি[] তান্ত্রিক রমেশ শাস্ত্রীর বিধানে প্রণীত হলো শাস্ত্রানুমোদিত আধুনিক দুর্গোৎসব পদ্ধতি পরিবারসমন্বিতা প্রতিমায় বাংলাদেশেই প্রবর্তিত হলো প্রথম শারদীয় দুর্গোৎসব[] ১৫৮০ খ্রিষ্টাব্দে রাজা কংসনারায়ণ প্রায় নয় লক্ষ টাকা ব্যয় করে দুর্গাপূজা করেছিলেন[] প্রভাতরঞ্জন সরকার তাঁর বাংলা বাঙালী গ্রন্থে বলেছেন, কংসনারায়ণ পাঠান যুগে প্রথম দুর্গা পূজা প্রচলন করেন এবং এতে তিনি সাত লক্ষ টাকা খরচ করেন[] তিনি রাজসূয় যজ্ঞ বা অশ্বমেধ যজ্ঞ করতে চাইছিলেন পন্ডিতেরা বললেন, কলিযুগে অশ্বমেধ যজ্ঞ সম্ভব নয় মার্কন্ডেয় পুরাণে যে দুর্গার কথা আছে তার পূজা করুন এভাবেই তিনি প্রথম দুর্গা পূজা আরম্ভ করেন 

কংসনারায়ণ এর বহুকাল আগে থেকেই বঙ্গদেশে দুর্গাপুজোর প্রচলন থাকলেও, কংসনারায়ন বিপুল অর্থ ব্যয়ে বঙ্গদেশে যে দুর্গোৎসবের সূচনা করে তা বাঙালি সমাজে কিংবদন্তী তৈরি করেছিলো কাজেই কংসনারায়ণ রীতি সমগ্র বঙ্গদেশে ছড়িয়ে পড়েএই রীতির প্রধান বৈশিষ্ট হলো একচালার দুর্গাপ্রতিমার চালি উপরের দিকে লক্ষ্মী সরস্বতী এবং নিচে গণেশ কার্তিকের অবস্থান প্রতিমার পেছনে অর্ধ চন্দ্রাকার চালি তথা চালচিত্রের ব্যবহার যে চালিতে মূলত দশমহাবিদ্যা মহাদেবের অবস্থান এই ধরনের চালিকে বাংলা চালি বলা হয় প্রতিমার মুখের আদলে থাকে অভিনবত্ব দেবী প্রতিমায় থাকতো টানাটানা চোখ টিয়াপাখির ঠোঁটের মত বাঁকানো নাক দেবীর দুই গাল সামান্য চাপা এই ধরনের মুখের আদলকে বলা হয় বাংলা মুখ দেবী প্রতিমার বর্ন গাঢ় হলুদ

অষ্টধাতুর দুর্গা বিগ্রহের বয়স প্রায় ১২০০ বছর তৎকালীন রাজসাহীর রাজা কংসনারায়ণ রায় নাকি এই বিগ্রহের পূজা শুরু করেছিলেন বাংলাদেশের মাটিতে যে দুর্গাপুজো শুরু হয়েছিল, কালের কপোলতলে আজ সেই বিগ্রহই রয়েছে জলপাইগুড়ির পান্ডাপাড়া কালীবাড়ি এলাকার চক্রবর্তী পরিবারে বিগ্রহের ঐতিহাসিক গুরুত্বের বিচারে রাজ্যের সবচেয়ে প্রাচীন পুজো তাদেরই, হুসেন শাহের আমল থেকেই এই অষ্টধাতুর দুর্গামূর্তি পূজিত হয়ে আসছে বলে দাবি তাদের বাংলাদেশের হরিপুরের পাবনাতে এই পুজোর সূচনা করেন কংসনারায়ণের ছেলে মুকুন্দরাম রায় সেই সময় হুসেন শাহের সঙ্গে যুদ্ধে পরাজিত হওয়ার পরে রাজা শ্রীহট্ট সেনের বাড়িতে বিগ্রহ নিয়ে টাঙ্গাইলে আসেন মুকুন্দরাম এবং রাজচক্রবর্তী উপাধি নিয়ে বসত শুরু করেন কেবলমাত্র এই বিগ্রহটি বাঁচানোর জন্য তিনি তার উপাধি পরিবর্তন করেন মুকুন্দরাম রায় থেকে চক্রবর্তী হন তার পরে প্রভাব প্রতিপত্তি বাড়িয়ে ফের যুদ্ধে অবতীর্ণ হন এবং যুদ্ধে জয়ীও হন ঐতিহাসিক এই দুর্গামূর্তিতে লক্ষ্মী-সরস্বতী নেই আছেন কার্তিক গণেশ নিত্যপুজোয় রকমের ভাজা দিয়ে ভোগ দেওয়া হয় মাকে দুর্গাপুজোর সময় অষ্টধাতুর মূর্তির পাশে মৃণ্ময়ী মূর্তি পূজিতা হন
আর্টিকেল'টি ভালো লাগলে আপনার ফেইসবুক টাইমলাইনে শেয়ার দিবেন। তাতে আপনি যেকোনো সময় আর্টিকেলটি খুঁজে পাবেন এবং আপনার বন্ধুরাও আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হবে।
গৌরব রায়
বাংলা বিভাগ, 
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট, বাংলাদেশ। 
লেখকের সাথে যোগাযোগ করতে : ক্লিক করুন
আরো পড়ুন:
রায় পদবীর বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের নাম, পরিচয় ও উল্লেখযোগ্য কর্ম: পার্ট- ৩ ক্লিক করুন
রায় পদবীর বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের নাম, পরিচয় ও উল্লেখযোগ্য কর্ম: পার্ট- ৪ ক্লিক করুন
রায় পদবীর বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের নাম, পরিচয় ও উল্লেখযোগ্য কর্ম: পার্ট- ৫ ক্লিক করুন
রায় পদবীর বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের নাম, পরিচয় ও উল্লেখযোগ্য কর্ম: পার্ট- ৬ ক্লিক করুন
তথ্যসূত্র:
আর্টিকেলের সকল তথ্য উইকিপিডিয়া ও গুগল থেকে নেওয়া!

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.